গ্রাম আদালত কী?
গ্রামাঞ্চলে কতিপয়ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিরোধ স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করার জন্যইউনিয়ন পরিষদের আওতায় যে আদালত গঠিত হয় সে আলাদতকে গ্রাম আদালত বলে।
গ্রাম আলাতের উদ্দেশ্য কী?
কম সময়ে অল্প খরচে ছোট ছোট বিরোধ দ্রুত ও স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করাই গ্রাম আদালতের উদ্দেশ্য।
গ্রাম আদালত আইন কত তারিখে হতে কার্যকর হয়েছে?
০৯মে ২০০৬ তারিখ হতে গ্রাম আদালত আইন কার্যকর হয়েছে।
গ্রাম আদালত কীভাবে গঠিত হয়?
৫(পাঁচ) জন প্রতিনিধিরসমন্বয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হয়। এরা হলেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদেরচেয়ারম্যান আবেদনকারীর পক্ষের ২ জন প্রতিনিধি (১জন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারএবং ১জন গণ্যমান্য ব্যক্তি) প্রতিবাদীর পক্ষের ২জন প্রতিনিধি (১জন ইউনিয়নপরিষদের মেম্বার এবং ১জন গণ্যমান্য ব্যক্তি)।
গ্রাম আদালত কী কী বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে?
গ্রাম আদালত পচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত মুল্যমানের সুনির্দিষ্ট কতিপয় ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে।
ফৌজদারী বিরোধ কী?
ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন ব্যক্তির অনিষ্ট বা ক্ষতিসাধন বা কোন ধরনের অপরাধ সংগঠিত করা হলে তাকে ফৌজদারী বিরোধ বলে।
দেওয়ানী বিরোধ কী?
সকল প্রকার স্বত্বেরবিরোধকে দেওয়ানী বিরোধ বলে। সম্পত্তির স্বত্ব নিয়ে বিরোধ, স্থাবর ও অবস্থারসম্পত্তি অথবা তার মুল্য আদায় দখল পুনরুদ্ধার সম্পর্কিত বিরোধ ক্ষতিপূরণপাবার অধিকার বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সম্পর্কিত বিরোধ হলো দেওয়ানী বিরোধ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস